
আলমগীর হোসেন,বরিশাল : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে দাপ্তরিকভাবে অপসারণের দাবিতে তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনরত একদল শিক্ষার্থী। ববির ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের উদ্যোগে রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়।
এর আগে বিক্ষোভ করে ববির রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা। রেজিস্ট্রারের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত কক্ষের তালা খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীরা তালা দেওয়ার সময় রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম তার কক্ষে ছিলেন না।
এছাড়া ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদে পুনর্বহালের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর শিক্ষকদের ববির লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণসহ তাদের পুনর্বাসনের জন্য উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনকে প্রকাশে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্যের অনিয়ম নিয়ে কথা বলায় গত ১৩ এপ্রিল একমাত্র অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনকে আইন ভেঙে অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে রেজিস্ট্রার সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুলের ইসলামের নানান অপকর্মের পরও তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে স্বপদে বহাল রেখেছেন উপাচার্য। এসব কর্মকাণ্ড জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বিজয় অর্জন করা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেনে নেওয়া হবে না। এছাড়া অবিলম্বে অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করে পুনর্বহাল করতে হবে। নয়তো কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, রেজিস্ট্রারকে দাপ্তরিকভাবে অপসারণ করা না হলে তালা খুলব না। রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম ভোলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারীদের মধ্যে অন্যতম।