ব্রেকিং নিউজঃ

সরকার স্বাভাবিক নির্বাচন চায় না: জিএম কাদের

সরকার স্বাভাবিক নির্বাচন চায় না বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইভিএম হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কারচুপির মেশিন। সরকার নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে স্বাভাবিক নির্বাচন চায় না। সরকার ও তাদের কিছু মিত্র ছাড়া আর সব দলই নির্বাচনে ইভিএম চায় না। কিন্তু, নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করেই ইভিএমে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, সকল দল চাইলে ব্যালটে নির্বাচন হবে। আসলে নির্বাচন কমিশনের বলা উচিত ছিল—সবাই চাইলে ইভিএমে নির্বাচন করা হবে। কারণ, ব্যালট পেপারে নির্বাচনই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।’

নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করবে, এ বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘উদ্দেশ্য ভালো না হলে কোনকিছুই ভালো হবে না। নির্বাচন কমিশনকে সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করতে হবে।’

নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য না হলে সংঘাত আরও বাড়বে, মন্তব‌্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে অস্তিত্বের লড়াই। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমন একটি জায়গায় নেওয়া হয়েছে যে, সবাই প্রতিপক্ষকে শত্রু মনে করছে। সবাই মনে করছে, পরাজিত হলে তাকে হত্যা করা হবে, যে পরাজিত হবে সে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আসলে এমন রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা চাই না। আমরা চাই, সবাই যার যার রাজনীতি করবে। আবার সবার সাথে সবার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে সবাই একসাথে কাজ করবে। আমরা চাই, সরকার সবাইকে ডেকে অথবা গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র, সরকার ও সরকারি দল এখন এক করে ফেলা হয়েছে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে আমরা সরকারের সমালোচনা করব, এটা আমাদের কর্তব্য। সরকারের সমালোচনা করলে রাষ্ট্রবিরোধী মনে করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রবিরোধী মামলা দেওয়া হয়।’

জাতীয় মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট পরিষদের আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বাবুর সভাতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিয়াংকা সকুলের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ শফি, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এম রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, হাফিজ মাস্টার, মঞ্জুরুল হক, সমরেশ মন্ডল মানিক, সদস্য কাজী মামুন, বজলুর রহক বজলু, রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার ফাহিম ফয়সাল খান, উজ্জ্বল চাকমা ও আব্দুর রহিম রুম্মন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*