ব্রেকিং নিউজঃ

টয়লেট ও ভিটা উচু করনে অর্থ আদায় পদক্ষেপ সংস্থার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

 

 

রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি : অনিয়ম করে ভিটা উচু করণ ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে টয়লেট নির্মাণ ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র এর বিরুদ্ধে। এনিয়ে উপকারভোগীরা অভিযোগ তুললে তালিকা থেকে তাদের নাম বাতিল করারও ভয় দেখান পদক্ষেপের ম্যানেজার হারুন অর রশিদ হারুন। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ার চর এলাকার ঘটনা ্এটি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ফলুয়ার চর ও পালের চর গ্রামে প্রায় ৬’শ খানা প্রধানের নামের তালিকা প্রণয়ন করা হয় দেড় বছর আগে। এসব পরিবারের জন্য খানা প্রতি ৫ হাজার মাটি দিয়ে বাড়িভিটা উচু করার কথা থাকলেও একাধীক খানার নাম দিয়ে একটি করে বাড়িভিটা উচু করা হয়। প্রতিটি নামের জন্য মাটিকাটা বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা। খোজ নিয়ে জানা গেছে মেয়ে, নাতনিসহ যারা এলাকায় বসবাস করেন না,তাদের নামেও খানা প্রধানের নামের সাথে যোগ করে ৬/৬ জনের নাম দিয়ে একটি করে বাড়ি উচু করে দিয়েছেন ওই পদক্ষেপ সংস্থা। নামের তালিকা চুরান্ত করার সময় হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। অপর দিকে ২১ হাজার টাকা ব্যয় একটি পরিবারের জন্য একটি করে টয়লেট নির্মাণ করে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা না করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ওই টয়লেট নির্মাণ করে দিয়েছেন। টয়লেট নির্মাণেও নাম প্রতি উৎকোচ নিয়েছেন ৬ হাজার টাকা। পদক্ষেপ সংস্থার অসাদু কর্মকর্তার যোহসাজসে ওই এলাকার দেলোয়ার মাস্টারের ছেলে নুর আলম নামের এক দালালের মাধ্যমে খানাপ্রতি মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে পদক্ষেপ সংস্থার মাঠকর্মী রাকিব হাসান ও কামরুজ্জামান।
উপকারভোগী জমিলা বেওয়া জানায় ৬টি খানার নাম দিয়ে মাটি কাটার জন্য ১০ হাজার ও টয়লেট নির্মাণের সময় ৬ হাজার টাকা দালালের মাধ্যমে নিয়েছেন ওই মাঠকর্মী।
উপকারভোগী আব্দুর রশিদ জানান, বাড়িভিটা উচু করার সময় ১০ হাজার ও টয়লেট দেওয়ার সময় ৬ হাজার টাকা নিয়েছে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তালিকা থেকে না বাদ দেওয়ার ভয় দেখান মাঠকর্মী।
বন্দবেড় ইউপি সদস্য বিপ্লব হাসান বলেন, নরমাল ইট দিয়ে টয়লেট নির্মাণ করে দিয়েছে এবং প্রতিটি টয়লেট এর জন্য ৫ হাজার ৯ শত টাকা হাতিয়ে নেয়। পাশাপাশি বাড়িভিটা উচু করনের জন্য নাম প্রতি ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা আমি শুনেছি।
পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র রৌমারী শাখার ম্যানেজার হারুন অর রশিদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ম অনুযায়ী টয়লেটের জন্য ৬ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে এবং বাড়িভিটা উচু করনের জন্য কোন অর্থ নেওয়া হয়নি।