মোনায়েম খান, নেত্রকোনা : নেত্রকোনা সদর উপজেলার শ্রীপুরবালী গ্রামের এক বিধবা নারীকে মৃত স্বামীর রেখে যাওয়া জমি চাষে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। হুমকির মূখে ওই নারী বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিধাব নারী মোছা. বাসনা আক্তার বুধবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের শ্রীপুরবালী গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর স্ত্রী মোছা. বাসনা আক্তার, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে মারা যান। এরই মধ্যে মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে রাজ মিস্ত্রির কাজ করে। মারা যাওয়ার আগে ২৫ শতাংশ ফসলী জমি রেখে যান আক্কাস আলী। ওই জমিতে চাষ করতে গেলে বাধা দেয় একই গ্রামের প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলী, মোস্তফা, খোকন মিয়া ও তাদের লোকজন। জমিতে চাষ করতে গেলে বাসনা আক্তারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বাধা প্রদানকারীরা। এমনকি তারা ওই নারীকে বিভিন্ন সময় আপত্তিকর প্রস্তাবও দেয় এবং মেরে লাশ গুম করার হুমকি পর্যন্ত দেয়। তাদের হামলার ভযে বাসনা আক্তার ছেলে জিন্নাতুলকে নিয়ে জেলা শহরে অন্যের আশ্রয়ে থাকেন এবং মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মোছা. বাসনা আক্তার বুধবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অসহায় বিধবা বাসনা আক্তার বলেন, আমি আমার স্বামীর রেখে যাওয়া জমিতে কাজ করতে পারছি না। গ্রামের খোকন মিয়া, মোহাম্মদ আলী ও তাদের লোকজন আমাকে ও আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে বলছে। ভয়ে আমরা এখন বাড়ি ছাড়া।
শ্রীপুরবালী গ্রামের খোকন মিয়া ও মোহাম্মদ আলী অভিযোগ অস্বীকার বরে জানান, জমি চাষে বাধা দেওয়ার কথা ঠিক নয়। নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। কিছুদিন আগে কথা কাটাকাটি হয়েছিল।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ উভয়েই জানান, অভিযোগটি এখনও তাদের কাছে পৌছেনি। অভিযোগ পাওয়ার পর যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।