মোনায়েম খান ,নেত্রকোণা : জেলার আটপাড়া কালিয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ১২জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান। হাজিরা খাতায় যথেষ্ট পরিমাণ উল্লেখ থাকলেও বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই। এই নিয়ে কালিয়াখালি গ্রামের হাবিবুল্লাহ আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ঘটিকার সময় কালিয়াখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে কোন ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিত পাওয়া যায়নি। শিক্ষকরা বলেছেন ছাত্ররা সবাই গ্রামের ইসলামী সভায় চলে গেছে । সরজমিনে গিয়ে জানা যায় জেলার আটপাড়া উপজেলার ২নং শুনই ইউনিয়নের কালিয়াখালি গ্রামে ২৮৬ ভোটের ছোট্ট একটি গ্রাম। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয় করণ হয়েছে। এর পর থেকে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংকটে দেখা দিয়েছে । এলাকাবাসী জানিয়েছেন শিক্ষকরা সময় মতো স্কুলে আসেনা। তাদের অবহেলায় বিদ্যালয়ে ছাত্র সংকট দেখা দিয়েছে । ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ দিয়ে স্কুলে পড়ালেখা করানোর মত কোন আগ্রহ শিক্ষকদের নেই । এই জন্য ছাত্ররা স্কুলে না এসে মাদ্রাসা ও পাশের পশ্চিম গোয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্ব ভরতোষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। কালিয়াখালি বিদ্যালয়ে ৬জন শিক্ষকের মধ্যে ১২জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পাঠদানে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় হচ্ছে। এলাকাবাসী বলছে একটি সরকারি বিদ্যালয়ের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে এই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া ভালো । বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাজা আসাদুজ্জামান বলেন বিদ্যালয়ে ৬০জন ছাত্র-ছাত্রী রহিয়াছে। গ্রামে ইসলামী সভা হওয়াতে ছাত্ররা সবাই সভায় চলে গেছে। এই নিয়ে আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাকিল আহমেদ বলেন এটি তদন্তের জন্য সহকারি ভূমি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম বিষয়টি খবর নিয়ে দেখছি।