নেত্রকোনা প্রতিনিধি : পূর্বধলা সরকারী কলেজের কম্পিউটার ল্যাবরেটরী থেকে ৬টি কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার ৫ মাস অতিবাহিত হলেও থানায় কোন জিডি বা মামলা না হওয়ায় তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কলেজ সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে ও স্কুলের আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে সম্মক জ্ঞান লাভ ও দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার ২০১২ সালে পূর্বধলা কলেজে ৮টি কম্পিউটার নিয়ে কম্পিউটার ল্যাবরেটরী চালু করেন। বিগত ২০২২ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাবিবুর রহমান কম্পিউটার ল্যাবরেটরী থেকে ৬টি কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ চুরি যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক মোবাইল ফোনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অবহিত করেন। কম্পিউটার চুরির ৫ মাস অতিবাহিত হলেও কলেজের পক্ষ থেকে থানায় কোন জিডি বা মামলা না করায় তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, চুরির ঘটনাটি রহস্য জনক, আবার কেউ কেউ বলছেন, কলেজের পক্ষ থেকে ঘটনাটি ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে কলেজের কারিগরি শাখার সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে কথা বললে, তিনি জানান, কম্পিউটার ল্যাব থেকে কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। থানায় জিডি বা মামলা হয়েছে কি না, আমি বলতে পারব না। কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের সেক্রেটারী এমদাদুল হক বাবুলের সাথে কথা বললে, তিনি জানান, কলেজের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ স্যারকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও থানায় জিডি করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। থানায় জিডি বা মামলা করা হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ারুল হক (রতন)-এর সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের একটি কম্পিউটারে টাইপ করা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বলেন, থানায় জিডি করা হয়েছে। উক্ত কাগজে থানার সিল, ওসির স্বাক্ষর ও জিডি নাম্বার না থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওসির কাছে গেলেই সব বুঝিয়ে দিবে। পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কলেজে কম্পিউটার চুরির বিষয়ে থানায় কোন জিডি হয় নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই দিকে পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর উচ্চ বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের হিসাব অনুযায়ী একটি ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে না বলে বিদ্যালয় সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ল্যাপটপটি প্রধান শিক্ষক নিজেই পূর্বধলা সদর স্টেশন রোডের তার এক প্রেমিকাকে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক সুরুজ আলীর উপর চাপ সৃষ্টি করছে। প্রধান শিক্ষকের ব্যক্তিগত একটি মেমোরিতে সমস্ত কিছু রেকর্ড রয়েছে। একজন প্রধান শিক্ষক হয়ে নিজেই অত্র বিদ্যালয়ের অফিস সহায়কের মেয়ের সাথে প্রেমের আলোচনা করতে শুনা গেছে। ইতি পূর্বে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রীর নামে টাকা আতœসাতের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। নারায়ণডহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুবকর ছিদ্দিক তালুকদার বলেন এই বিষয়ে আমি অবগত নই। এই নিয়ে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।