ব্রেকিং নিউজঃ

আটপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী উদ্যোক্তার অভিযোগ

আপডেটঃ ১০:৩৬ অপরাহ্ণ | মার্চ ১২, ২০২৩

 


মোনায়েম খান, নেত্রকোণা : ডিজিটাল আপা নামে পরিচিত নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ১২ বছর ধরে সম্মানের সহিত কর্মরত থাকিয়া অবশেষে চেয়ারম্যানের আপত্তিকর উক্তি ও অসামাজিক কার্যকলাপের সম্মতি না দেওয়ায় রোষানলে পরতে হয়েছে এক উদ্যোক্তা ও তার পরিবারের। কোন প্রকার কারণ ছাড়াই বিনা নোটিশে বাড়িতে চলে আসতে হয়েছে এই নারী উদ্যোক্তার। এমন এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে জেলার আটপাড়া উপজেলার শুনই ইউনিয়নের”ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তা সাকিলা ইয়াসমিনের। সুবিচার পাওয়ার আশায় ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার , নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক ও আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন। মোবাইল ফোনের রেকর্ড ও ভিডিও সহ বিভিন্ন লেখিত অভিযোগে জানা যায়, শুনই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আটপাড়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক রোকন উজ্জামান রোকন, ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ্যে ও ফোনে বিরক্ত করতো। টাকা পয়সা দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের সম্মতি নিতে নানা তালবাহানা শুরু করতো। অফিসে বাড়িতে ও রাস্তায় হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে উদ্যোক্তার মোটো ফোনে। বলা হতো ময়মনসিংহ হোটেলে নিয়ে যাওয়া কথা। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের ভাসায় । এই ভাবে সচিব ও চেয়ারম্যা তাকে দিন রাত বিরক্ত করেছে। সরজমিনে গিয়ে সহজ সরল এই উদ্যোক্তা সাথে কথা বলে জানা যায়, তার চাকুরি জীবনের কাহিনী। গত ১২ বছরে ইউনিয়ন পরিষদের দুজন চেয়ারম্যানের অধীনে সুনামের সাথে চাকুরি করে কোন দিন কারও কাছে হেনেস্থার স্বীকার হতে হয়নি। সেবা নিতে আসা এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে ডিজিটাল আপা নামে তিনি পরিচিত ছিলেন। বর্তমান শুনই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোকন উজ্জামান রোকনের দ্বারায় একের পর এক হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে। বছর দেরেক ধরে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নারী উদ্যোক্তা সাকিলার উপর পড়েছে তার কুদৃষ্টি। এই নিয়ে রাজনৈতিক নেতা নেত্রী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে চেয়াম্যানের কুকীর্তির বিষয়ে বারবার অবহিত করেও কোন বিচার পায়নী এই উদ্যোক্তা। অবশেষে চেয়ারম্যান নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে বিনা নোটিশে চাকুরী থেকে বাদ দিয়েছে বলে জানা যায়। বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে এলাকার একটি মহলের ধারায় হয়রানি করা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। এই নিয়ে নারী উদ্যোক্তা সাকিলা ইয়াসমিন বলেন চেয়ারম্যানের আপত্তিকর ভিডিও ও অডিওর বিষয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এর পরেও তারা চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। আজ আমি ও আমার পরিবার সম্মান নিয়ে চলা পেরা করা অসম্ভব হয়ে পরেছে। এই নিয়ে শুনই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোকন উজ্জামান রোকন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তার সাথে আমার এ রকম কোন সম্পর্ক নেই। নারী উদ্যোক্তার অভিযোগের ব্যপারে সুযোগ্য জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ মহদোয় বলেন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে । বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখব।