নেত্রকোণায় ৭ বছরের শিশুকে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা

 

মোনায়েম খান. নেত্রকোণা :  সদর উপজেলার কড়ইকান্দি গ্রামে হতদরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে ১২ বছরের শিশুকে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগে নেত্রকোণা আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায় গ্রামের অসহায় দরিদ্র পরিবারের এতিম ৭ বছরের ছেলে ইমনকে পালক নেওয়ার কথা বলে গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ মাস্টার ও তার বোন আয়মুনা আক্তার গত ৬-১২-২২ ইং তারিখ বাড়ি থেকে ছেলেটিকে নিয়ে যায়। এর মধ্যে শর্ত থাকে যে যখন খুশি তখন ছেলেকে মা তার নিজের কাছে নিয়ে আসবে। এর পর থেকে মাতা ফুলবানু ছেলেকে এক নজর দেখার জন্য আব্দুল কুদ্দুছ ও তার বোন আয়মুনার কাছে গেলে আজ কাল করে। গত তিন মাস হয়ে গেল এখন পর্যন্ত ছেলেকে এক নজর দেখার সুযোগ পেলনা। এর পর থেকে ছেলের শোকে বিধবা নারী ফুলবানু ও তার পরিবারের সন্দেহ হয়। এই নিয়ে গ্রাম সালিশে বসলে সকলের সামনে আব্দুল কুদ্দুছ মাস্টার বলেন ছেলেকে নিতে হলে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। না হলে ছেলেকে ফেরত দেওয়া হবেনা। এই ভাবে যতবার সালিশ হয়েছে ততবার টাকা চেয়েছে। বেশ কয়েকবার সালিশে ছেলেকে মায়ের কাছে পেরত দেওয়ার আলোচনা হয়। এই ভাবে একের পর এক গ্রাম সালিশ হলেও ছেলেকে মায়ের কাছে ফেরত না দেওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। এতিম ছেলেটি কি বেচেঁ আছে, নাকি মরে গেছে। না বিদেশে কোথাও ছেলেটিকে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অবশেষে গ্রাম বাসীর পরামর্শে ও সুবিচারের আশায় বড় ভাই মোঃ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১. মোঃ আব্দুল কদ্দুছ মাস্টার (৫০)পিতা মৃত আঃ আলী সাং কড়ইকান্দি সদর নেত্রকোণা। ২.আয়মোনা আক্তার (৫৫)স্বামী মৃত আলী উছমান সাং বাকলজোড়া দুর্গাপুর নেত্রকোণা। এই দুজনকে আসামী করে নেত্রকোণা আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর থেকে আব্দুল কদ্দুছ মাস্টার ও তার পরিবার এই অসহায় পরিবারকে বাড়িতে গিয়ে প্রতিনিহত হুমকি দিচ্ছে সবাইকে গ্রাম ছাড়া করিবে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে সবাইকে মেরে ফেলবে। বলে মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন। এই নিয়ে নেত্রকোণা মডেল থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন ছেলেটিকে এরা পালক দিয়েছিল। ছেলেটিকে নিয়ে কোর্টে হাজিরা দেওয়ার পর বুঝা যাবে ।