ব্রেকিং নিউজঃ

নেত্রকোণার হত্যা মামলার যাবজ্জীবন পলাতক আসামি ১৫ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রেফতার

 

মোনায়েম খান ,নেত্রকোনা :  নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ রতনকে ১৫ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪ ময়মনসিংহের একটি চৌকস আভিযানিক দল।
কেন্দুয়া উপজেলার সোহাগপুর দেউলি গ্রামে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০০৭ সালের সাত ফেব্রæয়ারী ঐ গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ তোয়াজ্জেমকে প্রতিপক্ষ গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে গলায় কোপ দিলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে র‌্যাব জানায়, কেন্দুয়া উপজেলার সোহাগপুর পাড়া দেউলি গ্রামে মোঃ তোয়াজ্জেমের সাথে একই গ্রামের মোঃ রতন মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ২০০৭ সালের সাত ফেব্রæয়ারী সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গ্রামে দু পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ রতন মিয়া,ফারুক,সাহেদ,সুলতান,আঃ কাদির তোয়াজ্জেমের দুই হাত ধরে রাখে এ সময় মোঃ বাবুল গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে গলায় কোপ দিলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ভিকটিম তোয়াজ্জেম মৃত্যু বরণ করে।
ঘটনার ১১ দিন পর তোয়াজ্জেমের ছেলে আরিফ হাসান (২২) বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ০৬ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। উক্ত মামলায় বিচার শেষে বিজ্ঞ দায়রা আদালত ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল আসামী মোঃ বাবুলের মৃত্যুদন্ডাদেশ মামলার বাকি আসামীদেরকে যাবজ্জীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
র‌্যাব-১৪,ময়মনসিংহের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৫ বছর পর এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ রতনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার চকচন্দ্রপুর এলাকা থেকে ২৫ মার্চ শনিবার ভোর বেলা গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জেলার কেন্দুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‌্যাবের মিডিয়া অফিসার সিনিঃ সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।