জমি কিনে বিপাকে ব্যবসায়ী

টঙ্গী(গাজীপুর)প্রতিনিধি: গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন এলাকায় ৬.৬ শতাংশ জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী। প্রায় দশ বছর আগে ওই কেনা জমির পাশে খাস জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন।

গত বুধবার জমিতে অবৈধ ভাবে সীমানা প্রাচীর করতে গেলে বাগবিতণ্ডার পরে পুলিশে খবর পাঠানো হয়।বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এমন তথ্য দিয়েছেন ভুক্তভোগী জমির মালিক আল মামুন জুয়েল।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সদর উপজেলার ৪২নং ওয়ার্ডের পদহারবাইদ(আটাইবাড়ী)  এলাকার বাসিন্দা মৃত মোশারফ হোসেনের কাছ থেকে ২০১৩ সালের এসএ ৪৬,আরএস ১৩৭ খতিয়ানভূক্ত দাগ এসএ৭৮০,৭৮১৭৮৪,৭৭৮ আর এস ১১০,দলিলে নং ১৪৪৭৮ ছয় শতাংশ জমি ক্রয় করেন জুয়েল। প্রায় এক দশক আগে জমি কিনেও দখলে যেতে পারেন নি তিনি। তবে জমিটির পাশে খাস জমিতে বসত বাড়ি নির্মাণ করে বাস করে আসছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো.সায়েম বলেন, জুয়েলের কেনা জমি দখল না দিয়ে খাস জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন বিক্রেতা মৃত মোশারফ হোসেন।প্রায় দশ বছর পর তার ছেলে শিমুল তাদের কেনা জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন।

ভুক্তভোগী আল মামুন জুয়েল বলেন, প্রায় দশ বছর আগে মৃত মোশারফের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে বসত বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। গত কয়েকদিন আগে তার ছেলে শিমুল ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে আমাদের কেনা জমিতে সিমানা প্রাচীর গড়তে থাকে। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।

আমাদের উভয়কে কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডাকা হয়েছে।

মৃত মোশারফের চাচাতো ভাই আবুল কালাম বলেন, আমার ভাই খাস জমি বুঝিয়ে দেন জুয়েলকে। দশ বছর পর আমার ভাতিজা ওই জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে। বিসয়টি নিয়ে স্থানীয় শালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান শিমুল বলেন,আমি আমার মায়ের জমিতে আমি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছিলাম।জুয়েল।বাধা দিয়েছে।আমি তাদের জমি দখল করতে যাই নি।আগামীকাল আপনাদের সাথে দেখা করে কথা বলি।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।