ব্রেকিং নিউজঃ

১৭ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় নিয়োজিত রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে কোনো উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় আশেপাশের হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ায় ব্যবহার করা হয় অ্যাম্বুলেন্সটি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৮ জন। পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন প্রায় ৩ হাজার। ফলে আপদকালীন সময়ে বিশেষ করে একসঙ্গে একাধিক শিক্ষার্থী বা কর্মকর্তা কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নিতে দুর্ভোগে পোহাতে হয়।

ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সামিরা ইসলাম বলেন, ‘আমার এক বান্ধবী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সকে ফোন দেওয়া হয়। তখন জানানো হয় অ্যাম্বুলেন্স আরেক রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে গেছে। তখন বাধ্য হয়ে অনেক কষ্টে বন্ধবীকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকেন ১ হাজার ২০০ ছাত্রী। আবাসিক হলের কোনো ছাত্রী রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লেও অ্যাম্বুলেন্স সেবা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রীরা জানান, কিছুদিন আগে রাত ৩টার দিকে এক ছাত্রী হঠাৎ জ্ঞান হারায়। প্রভোস্ট ম্যাডামের মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হয়। কিন্তু ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করার পরেও অ্যাম্বুলেন্স আসেনি। পরে বাধ্য হয়ে বিকল্প মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে মেডিক্যালে পাঠানো হয়।

পুরান ঢাকার নারিন্দা এলাকার মেসে থাকা লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি বলেন, ‘মাসখানেক আগে হঠাৎ আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আমার রুমমেটরা প্রথমে চেষ্টা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স আনার। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে আমাকে রিকশায় করে মেডিক্যালে নিয়ে যায়।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমাদের একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আমরা আবেদন করেছি। এখন একটি দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একদিন একাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এই অ্যাম্বুলেন্সটি না থাকলে অন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স কেনার ক্ষেত্রে বাজেটের একটা বিষয় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রয়কমিটিসহ আনুষাঙ্গিক আরও কিছু কমিটি আছে যাদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়। সামনের বাজেট আসলে নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স কেনার চেষ্টা করবো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*