মোস্তাফিজুর রহমান তারা, রৌমারী কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা : রৌমারীতে পাট ক্রয় বিক্রয় ও গুদাম জাত করা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে পাট চাষী ও ক্রেতা-বিক্রেতারা। দেশ ভাগের পূর্ব থেকে শুরু করে দেশ ভাগের পর ১৯৭১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রৌমারী’র কৃষক তথা ব্যাবসায়ী মহল শান্তিতে পাটজাত দ্রব্য বাজারজাত করে নিরাপত্তার সাথে ক্রয় বিক্রয় করে আসছিল। রৌমারী সাধারণত প্রধান কৃষি উৎপাদনশীল অঞ্চল। কৃষকের কৃষি পণ্যের নিরাপত্তা বিধানে তৎকালীন সময়ে রৌমারীতে বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে পাটের গাইট বাধা কল ও সরকারি ভাবে পাট সংরক্ষণ করা হতো। এক সময় পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরাতন জায়গাটির পরিবর্তে নতুন করে জমি অধিগ্রহন করেন জমির শ্রেণী খাদ্যগুদাম পরিমান ২ একর। বর্তমান আর এস মোতাবেক, খং নং ৪, দাগ নং ৪৫৫০, জমির পরিমাণ ০ দশমিক ৮৮০৬ একর জমি। অধিগ্রহনের মাধ্যমে পাট গুদামের সকল অবকাঠামো নির্মাণসহ সকল যন্ত্রাংশ স্থাপন করে সাধারণ কৃষকের সুবিধার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। পাট গুদামটি নির্মাণ হওয়ায় পাট চাষীদের দূভোগের সমাপ্তি ঘটে। যারফলে অসংখ্য শ্রমিক পাটের গাইট বাধাসহ নানাপ কাজে তাদের সংসার সুখেই চলছিল।
এদিকে দেশ স্বাধীনের ৪১ বছর পর ২০১২ সালে পাট গুদামটি রৌমারী উপজেলাধীন যাদুরচর গোলাবাড়ি গ্রামের মৃত্যু মফিজ উদ্দিন মন্ডল এর পুত্র মো’ আব্দুর রহমান রৌমারী এলাকার মানুষের অজান্তে ঢাকায় বসে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় নিলামে ক্রয় করে বলে সুত্রে জানাযায়। বর্তমানে জায়গাটির মূল্য দুইশত কোটি টাকার কাছাকাছি। এলাকার হ্জার হাজার কৃষকের অভিযোগ , পাটগুদামটি চলমান থাকা কালে এ অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক তথা ব্যাবসায়ী অতিসহজে পাট ক্রয়বিক্রয়ের মাধ্যমে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন। যেখানে সরকারের প্রতি সিজনে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হতো। গুদামটি না থাকায় বাজারের বাহিরে ঝড়-বৃষ্টিতে নিরাপত্তা হীনতায় চরম ভোগান্তি ভোগ করছেন কৃষক ক্রেতা।
পাট গুদাম নির্মাণ এক সময় এলাকার মানুষের প্রাণের দাবী ছিল। এব্যাপারে কৃষক, আব্দল আলীম, নুরুল হক, সিরাজুল, আমজাদ, আবুতাহের , আহসান, দুঃখ করে বলেন , পাট গুদামটি ছিল কৃষকের পাট ক্রয় বিক্রয়ের নিরাপত্তার জায়গা। বর্তমানে গুদামটি না থাকায় বর্তমানে হাট-বাজারে পাট নিয়ে ঝড় বৃষ্টিতে দূর্ভোগে পড়তে হয়। এমনকি হাটের দিন পাট বিক্রেতাদের ভীরে নিদিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় রাস্তা ও অলিগলি পাটের গাড়িতে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে হাটুরাদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। কে শোনে অভাগা কৃষকের কথা। এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল কায়ুম বলেন, পাট গুদামটি না থাকায় কৃষক চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে যত্রতত্র অরক্ষিত অবস্থায় কৃষক ও ক্রেতারা ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন।
মোস্তাফিজুর রহমান তারা