মদন (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা : নেত্রকোনার মদন-ফতেপুর ১৩ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ রাস্তা ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে খানা-খন্দক ও ডুবায় পরিণত হয়েছে। এ সড়কে প্রতিদিন তিনটি ইউনিয়নের শত শত লোক উপজেলা সদর, রাজধানি ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে থাকে। বাস, সিএনজি ও অটো রিকশায় যাত্রীরা বাদ্য হয়ে দূর্ঘটনার আশষ্কা নিয়েই চলাচল করছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মা-শিশু ও রোগীরা পড়েছে বিপাকে। সড়কের এ অবস্থা থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
সড়কে যাতায়াতকারী ভুক্তভোগী লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাব ও অত্যান্ত নিম্নমানের কাজই এ সড়কের বেহাল দশা। সড়কটি দ্রæত সংস্কার না করলে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এতে উপজেলার বিশটি গ্রামের লোকজন কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ বিভিন্ন কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে গর্ভবতী নারী শিশু ও রোগীদের নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না। এ পথে মানুষ এখন গাড়ি নিয়ে যাবে দূরের কথা, পায়ে হেঁটে কাদা পানি মেখে খুব কষ্ঠ করে চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তাটি দ্রæত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার শফি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান ও মোঃ খায়রুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দিন রাস্তাটি সংস্কার না করায় পুরো সড়কটি যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির ব্যাপারে উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় একাধিকবার উত্তাপন করা হলেও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি দ্রæত সংস্কার করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
মদন উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া পিয়েল জানান, মদন-ফতেপুর সড়কের খুবই বেহাল দশা। এ রাস্তাটি আরসি আইপি প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। তবে এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথেই কাজ শুরু করা হবে।