ব্রেকিং নিউজঃ

রাস্তা কার্পেটিং কাজে অনিয়ম রৌমারীতে এলাকাবাসির বিক্ষোভ মিছিল অভিযোগ দায়ের

 

মোস্তাফিজুর রহমান তারা, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা : রৌমারীতে রাস্তা কার্পেটিং করণের কাজে ব্যাপক অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসি। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল সীমান্ত এলাকা রৌমারী সদর ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসি। বিক্ষোভে প্রায় শতাধিক মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের গাফলতির কারনে রাস্তাটিতে মাটি ভরাট ও খোয়া ড্রেজিংয়ের কিছুটা শেষ করেই কাজ বন্ধ রাখে। এনিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হলে প্রশাসনের টনকনড়ে এবং চলতি মাসে পূনরায় পাকা করনের কাজ শুরু করেন। গত কয়েকদিন থেকে তড়িঘড়ি করে নামকাওয়াস্তে বিটুমিনের পরিমান কমদিয়ে বৃষ্টির মধ্যেও কার্পেটিং ও সিলকোডের কাজ করতে থাকেন। উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের ওয়ার্ক এ্যাসিস্টেন্ড হারুনর রশিদ এর উপস্থিত থেকেই রাস্তার কাজের অনিয়ম করা হচ্ছে। এনিয়ে এলাকাবাসি বাধা দিলে তাদের কথা নেওয়া হয়নি।
ফলে ভ্যান, অটোরিক্সা চলাচলের সাথে সাথে কার্পেটিং ও সিলকোড সম্পুর্ণ উঠে এবং বৃষ্টির সাথে কার্পেটিং ভেসে যাচ্ছে। অপর দিকে রাস্তার দু’পাশে বৃষ্টির পানিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হলেও বালু দিয়ে মাটি ভরাট করে তার উপর কার্পেটিং এর কাজ করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের শেষের দিকে উপজেলার চর নতুনবন্দর স্থলবন্দর তুরা রাস্তা হতে সীমান্ত এলাকা দিয়ে খাটিয়ামারী কাদেরের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা মাটি ভরাট ও পাকা করনের জন্য ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা টেন্ডারের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের মেসার্স সাকিব ট্রেডার্স উক্ত কাজটি পায়। মেসার্স সাকিব ট্রেডার্সের মালিক প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার প্রোঃ মো.আহসানুল লিটন স্থানীয় সাইদুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে রাস্তাটির কাজ করেন। রাস্তাটির তিন স্থানে গাইড ওয়াল দেওয়ার কথা থাকলেও ড্রাম দিয়ে গাইডওয়াল দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের নওশেদ আলী বলেন, ওয়ার্ক এসিস্টেন হারুনর রশিদের উপস্থিতিতে রাস্তার উপর সিলকোট দেয়ার কয়েক দিনের মাথায় ওই সিলকোটগুলো আলগা হচ্ছে। হাত দিয়ে সব পাথর জড়ানো যায়। এমন নি¤œ কাজে রাস্তাটি কয়েকদিনের মধ্যে ভেঙ্গে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জবেদ আলী, নুরুল আমিন, জাকির হোসেন, এনামুল হকসহ অনেকেই বলেন, রাস্তার কাজ এত খারাপ করছে এর আগে কোথাও দেখি নাই। সাব-ঠিকাদার সাইদুর ও প্রকৌশলী অফিসের হারুন নামের লোকটিকে কাজের ব্যাপারে বলতে গেলে তারা আমাদের উপর রেগে যায় এবং আমাদের উপর ক্ষমতার অপব্যহার করেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মামনুর রহমান এর সাথে রাস্তার কাজের অনিয়ম বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা হলে, তিনি জানান, বিষয়টি দেখছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, এ অনিয়ম বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কাজ যদি নি¤œমানের হয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*