মোস্তাফিজুর রহমান তারা, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা : সরকার রাস্তায় ফ‚টপাত তৈরী করে দেন নাগরিকদের হাটার সুবিধার জন্য। রৌমারী উপজেলা সদর হাসপাতালের সামনে সেই ফ‚টপাত দখল করে সদর ইউপি চেয়ারম্যানের অফিস কার্যালয় পরিচালনা ও ব্যবসা করছেন দোকানিরা। এতে হাসপাতালের সামনে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা। অন্যদিকে হাসপাতালের পরিবেশ দুষণ করা হয়েছে। উপজেলা মাসিক সভায় বারবার উচ্ছেদ বিষয়ে আলোচনা করা হলেও প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নিতে নিরব ভুমিকা। রোগীসহ হাসপাতালে আসা জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি ও পরিবেশ দুষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে চলছে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। রৌমারী খাদ্য গুদামের বাউন্ডারী থেকে সদর বিজিবি মোড় পর্যন্ত হাসপাতালের বাউন্ডারি ওয়াল লাগোয়া ৪ প্রস্তের ফুটপাতে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের অফিস কার্যালয়সহ বিভিন্ন চায়ের দোকানদারদের স্থায়ী দখলে। চায়ের দোকানের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে হাসপাতালের ভেতরে। ফুটপাত না থাকায় দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকে অটোরিক্সা, ভ্যান গাড়ি। রোগীসহ হাসপাতালে আসা জনসাধারনের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়াও হাসপাতালের পরিবেশ দুষণে পরিনত। এমন অভিযোগ পেলেও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।
এবিষয়ে হাসপাতালে আসা অসুস্থ্য রোগী আছিয়া, সবুরা বেগম, সুফিয়া খাতুন, হযরত আলী, মকবেল হোসেনসহ অনেকেই কষ্টের সাথে বলেন, আমরা দুরদুরান্ত থেকে খুব কষ্টে হাসপাতালে আসি সেবা নিতে। হাসপাতালে প্রবেশের ফুটপাতে দোকানপাত থাকায় চলাচল করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
হাসপাতালের ভেতর মসজিদে যাতায়াত মুসুল্লি তোফায়েল হোসেন, মোহাম্মদ আলী, আনছার আলীসহ অনেকেই জানান, হাসপাতালের সামনে ফুটপাতে দোকানপাট নির্মানের কারনে হাসপাতালের পরিবেশের ক্ষতি। অন্যদিকে নামাজের সময় যাতায়াতসহ মসজিদের মুসুল্লিদের সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান জানান, দোকান গুলির কারনে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে রোগীদের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। দোকানদারদেরকে দোকান সরিয়ে নেয়ার জন্য পত্র দেয়া হয়েছে এবং উপজেলা মাসিক সভায় উচ্ছেদের বিষয়ে বারবার উন্থাপন করা হয়েছে। কেন জানি স্থবির হয়ে আছে।
পরিবেশ নষ্ট করে হাসপাতালের সামনে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে দোকানপাট ও চেয়ারম্যানের অফিস কার্যালয় নির্মান করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খানকে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, দোকানপাট উচ্ছেদের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।