
বারহাট্টা নেত্রকোণা প্রতিনিধি : জেলার বারহাট্টা উপজেলায় নিয়োগের নামে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগের আগেই ৫টি পদে প্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক , নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি সন্ধ্যা রানী ও এলাকার মো. নয়ন মিয়া নামে দুজন । অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুলাই উপজেলার উজানগাওঁ আব্বাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক,পরিচ্ছন্নতা কর্মী,আয়া, নৈশ প্রহরী, এই ৫ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১২ নভেম্বর রোববার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। এই দিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০-১২ থেকে ৫-৬ লাখ করে টাকা নিয়ে নিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামছুল আলম ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রহুল আমিন। তারা একটি লামছাম পরীক্ষা দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পাস করানোর চেষ্টা করবেন। চাকরি দেওয়ার আগেই অগ্রিম টাকা নেওয়ার বিষয়টি এলাকার জানাজানি হলে এই নিয়ে এলাকায় নানা– ধরনের সমালোচনা চলছে। এলাকাবাসীর দাবি প্রশ্ন পত্র প্রণয়ন ও নিরাপদ সংরক্ষণের মাধ্যমে সুষ্ঠ ও পরিচ্ছন্ন একটি নিয়োগের মাধ্যমে মেধা ভিত্তিক লোক নিয়োগ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। অভিযোগের বিষয়ে সন্ধ্যা রানী বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছি কোথাও কোন ধরণের অন্যায় হলে প্রতিবাদ করি। এই বিদ্যালয়ে এর আগেও প্রার্থীদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকার নেওয়ার কারণে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। সেই আগের মতো এখনো লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এই নিয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রহুল আমিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগের বিষয় সভাপতি ও তার ছেলে শামিমের সাথে যোগাযোগ করেন। পরীক্ষা দিয়ে যারা পাস করবে তাদেরই চাকরি হবে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামছুল আলমকে বারবার ফোন করেও উনার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নী।
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এই গুলো শিক্ষা কর্মকতার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা নিজ থেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।