ব্রেকিং নিউজঃ

আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ে লেখাপড়া শেখানোর কথা বলে ১৪ বছরের কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মুজিরুল ইসলাম নামে এক আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও আদালতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মুজিরুল ইসলামকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেছেন।

৪৫ বছরের মুজিরুল ইসলাম সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের চিলারং গ্রামের মশিবর রহমানের ছেলে। তিনি চিলারং ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদদের দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ঋষিকেশ রায় লিটন।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও জজ কোর্টের আইনজীবী নাজমুল ইসলাম। মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মায়ের তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মুজিরুল ইসলাম মাঝে মাঝে তাদের বাড়িতে যেতেন। তাদের অসহায়ত্বের কথা শুনতেন। এক সময় ওই কিশোরীর দায়িত্ব নিতে চান মুজিরুল। তাকে লেখাপড়া শিখিয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে চাকরি করাবার কথা বলেন এবং ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিতে চান। অসহায় ওই নারী বিশ্বাস করে দেড় বছর আগে মুজিরুলের হাতে মেয়েকে তুলে দেন। মুজিরুল স্থানীয় কয়েকজন লোকজন সঙ্গে নিয়ে ওই কিশোরীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন৷ মাস কয়েক যেতে না যেতে ওই কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দিতেন মুজিরুল। পরে কিশোরী তা সবাইকে বলে দিতে চাইলে তাকে ভয়ভীতি দেখাতেন। এভাবে এক সময় তাকে বাধ্য করে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের। সর্বশেষ ৪ আগস্ট বাড়ির পাশে আখ ক্ষেতে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরী স্থানীয় ইউপি সদস্যকে নালিশ করেন।

এর আগে ওই কিশোরীর উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কিছু দিন চিকিৎসাও নেয় ওই কিশোরী। সেখানকার সনদপত্রে ধর্ষণের কথা উল্লেখ পাওয়া গেলে আদালতে মামলা করেছেন কিশোরীর পরিবার।

ইউপি সদস্য আলাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা স্থানীয়রা জানতাম, মুজিরুল ওই কিশোরীকে তার ছেলের বউ করে নিয়ে এসেছেন। তিনি সবাইকে তাই বলতেন। গ্রামের কেউ জানতাম না কিশোরীকে লেখাপড়া বা ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। মামলার এজাহার দেখার পর পুরো বিষয়টা যখন জানতে পারি। আমার কাছে ভরা মজলিশে ওই কিশোরী ধর্ষণের বিষয়ে নালিশ করলে আমি আদালতে মামলার পরামর্শ দেই।’

এ বিষয়ে মুজিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ওই কিশোরী আমার ছেলের স্ত্রী। তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা।’ ছেলের বিয়ের কাবিন দেখতে চাইলে দেখাতে পারেননি তিনি। বলেছেন, বিয়েটা কাবিন ছাড়া মৌলভী দিয়ে পড়ানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই চন্দন রায় বলেন, ‘আদালত থেকে মামলাটি থানায় রুজু হলে আমাকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলমান আছে এবং আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*