মোনায়েম খান নেত্রকোনা : প্রশাসনের মনিটরিং এর অভাবে ও কিছু মুনাফালোভীদের কারণে হাওর অঞ্চলের জনপ্রিয় বাজার নামে সুপরিচিত খালিয়াজুরী উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের শতশত বছরের পুরাতন লিপসা বাজার । এখানে অতিরিক্ত টোল আদায়ে কারণে বাজারটি দিন দিন ঐতিহ্য হারাচ্ছে। এই বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন জেলার ভাটি অঞ্চল থেকে সমাগম হত বাজারটি প্রতিদিন থাকত জমজমাট। দেশের কয়েকটি জেলার মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ভৈরবসহ অনেক জেলার ব্যবসায়ীরা নদী পথে লিপসা বাজারে এসে ব্যবসা করতো । এখন দুই তিনটি জেলা বাদে আর আগের মত কেউ এই বাজারে আসে না। বর্তমানে পরিস্থিতি স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীসহ শনিবারে লিপসা বাজারে আসে ভৈরব,জামালগঞ্জ,সাজনা,ধর্ম পাশা, মধ্যনগর থেকে ,কিশোরগঞ্জ থেকে ,মিঠামইন থেকে আসে কিছ ুছোট ব্যবসায়ীর। সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়,ভেট সহ প্রায় ৯৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই বাজারটি ইজারাদার হিসেবে পরিচালনা করেন মোঃ মাসুক মিয়া ও বনীক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ মিয়ার সহযোগীতায় কোন প্রকার টোল আদায়ের চার্ট না টানিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে মনগড়া খাজনা আদায় করছে। এতে ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন হয়রানীর শিকার হচ্ছে। বাশঁ বিক্রি করলে ২০০০ হাজার থেকে ৩৫০০, টাকা, কাঠ বিক্রি করলে ৩০০০ থেকে চার হাজার টাকা করে জোরপুর্বক হাতিয়ে নিচ্ছে। এর মধ্যে বি,আই ডবিøউ এর লঞ্চ ঘাটেও কোন প্রকার সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মনগড়া খাজনা আদায় করছে। এতে বাজারটি দিনদিন ক্রেতা বিক্রেতা হারাচ্ছে , আর জনমনে সরকারের নামে গুজব রটাচ্ছে। একটি মহলের ইশারায় নদী পথে পণ্য বুঝাই বাল্কহেড ও লঞ্চ থেকে ৩০০০,হাজার টাকা থেকে ৫০০০, টাকা চাদাঁ আদায় করছে তা দেখার কেউ নেই। লিপসা বাজারে কাঠ, বাশঁ ও নৌকা বিক্রয়ের জন্য বিখ্যাত পাশাপাশি সবধরণের পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা যায় । বাজারে কয়েকটি ফার্মেসীতে রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষধ ও নামে বেনামে অবৈধ ভাবে বেকারী ও মসলা ভাঙ্গনোর মিল রয়েছে যেগুলোর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এর দ্ধারায় পরিবেশ ও পরিছন্নতার বিপর্যয় ঘটছে। বাজারের পাশে চলে জুয়ার আসর, রয়েছে জমজমাট সুধের ব্যবসা এই নিয়ে প্রশাসনের কোন মনিটরিং নেই। কিছু ব্যবসায়ী ব্যবসার সুবাধে বাজারের চার পাশে জমি কিনে ফিসারী ও বাড়িঘর নির্মাণ করেছিল এখন তা বিক্রি করে চলে যেতে চাচ্ছে। এখানে ব্যবসায়ীরা কোন সঠিক বিচার পায়না। যত বড় অপরাধ হোক না কেন তা অলৌকিকভাবে শেষ হয়ে যায়। বাল্কহেড এর সারঙ্গ মোঃ আব্দুল সোবাহান বলেন নৌপরিবহন সমিতিকে চাদাঁ ও লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার মাসুক মিয়াকে টোল দিতে গিয়ে নদী পথে পাথর বালুর ব্যবসা করা যাবে না। তাদেরকে হাজার হাজার টাকা চাদাঁ দিতে হয়। ভৈরব বাজার থেকে আগত কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ সাদেক মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি বলেন বাজারটিতে আমার বাপ দাদা থেকে এসে ব্যবসা করতো সেই দ্বারায় আমি ও আমার ছেলে মিলে ব্যবসা করছি। এখানে অতিরিক্ত টোল আদায়ের কারণে ব্যবসায় কোন লাভ হয়না। সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জের কাঠ ব্যবসায়ী এখলাছ মিয়া বলেন এখানে ব্যবসা করা যাবেনা যে ভাবে খাজনা আদায় করে তাতে ব্যবসা করে ছেলে মেয়ে নিয়ে চলা যাবে না। তাই ভাবছি ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছু করবো। কেন্দুয়া উপজেলার বুকবাজারের বাশঁ ব্যবসায়ী আব্দুস ছালাম বলেন ১৫ দিন ধরে কষ্ট করে বাশঁ নিয়ে আসিয়াছি যা লাভ হয়েছে তা খাজনা দিতে দিতেই শেষ হয়ে গেছে। এই নিয়ে বাজারের পুরাতন ব্যবসায়ী কালা মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায় ব্যবসায়ীরা খাজনা দিতে দ্বিধাদ্বন্ধ করলে তাদের উপর অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়।এই ভাবে ক্রেতা ও বিক্রেতারা লিপসা বাজারে প্রতিনিহত হেনেস্থার শিকার হচ্ছে। বাজারে রয়েছে মাছের আড়ত তাদের রয়েছে একটি বড় সেন্টিকেট তা হলো জেলেরা আড়ত ছাড়া অন্য কোথাও মাছ বিক্রি করতে পারেনা। সাধারণ ক্রেতা মাছ ক্রয় করতে পারেনা। টোল আদায়ের বিষয় নিয়ে লিপসা বাজারের ইজারাদার মোঃ মাসুক মিয়া বলেন নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ নুরুল হুদা জুয়েল বলেন এই বাজারে অতিরিক্ত চাদাঁ আদায়ের কারণে সাল্লা উপজেলার এক ক্রেতাকে মারপিটের জন্য খালিয়াজুরী থানায় মামল রয়েছে এই ভাবে প্রতিনিহিত টোল আদায় হামলা মামলার ঘটনা ঘটছে। লিপসা বাজারের ইজারাদার মাসুক মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। লিপসা বাজারের টোল আদায়ের চার্ট না থাকায় । অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বলেন টোল আদায়ের চার্ট দেওয়া হয়েছিল । সকল ব্যবসয়ীকে ডেকে বলব চার্ট ব্যবহার করার জন্য।