ব্রেকিং নিউজঃ

সাইলর বিতরণে অনিয়ম রাজিবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগে তদন্ত শুরু

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা:কুড়িগ্রামের রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে সাইলর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্ত্তী।

জানা গেছে,২০২০-২১ অর্থবছরে খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বন্যা কবলিত এলাকায় কৃষি বীজ সংরক্ষণের জন্য রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের জন্য প্রায় এক হাজার ৭ শত সাইলর বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দকৃত সাইলর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এর আগে মূল তালিকার অর্ধেক নামই পায়নি সাইলর। সাইলর বরাদ্দ হয় সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদল থাকা অবস্থায়। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের চুড়ান্ত তালিকা পাঠায় যে তালিকা পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই বলছেন সাবেক ঐ চেয়ারম্যান।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম পিতাঃ আজিজুর রহমান গ্রাম কাচারী পাড়া সাইলর ড্রামের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তিনি সাইলর পায়নি।

অভিযোগকী বলছেন, বাদল চেয়ারম্যান আমাদের এই সাইলর দেওয়ার জন্য নাম নেয়। পরে আমাদের নামের ওপরই বরাদ্দ আসে কিন্তুু এখন তো বাদল চেয়ারম্যান নেই, মাস ছয়েকের মতো হয়েছে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছে মিরন, তাই পছন্দ মতো নতুন তালিকা করে আত্মীয়-স্বজনসহ নিজের লোকজনের মাঝে কিছু সাইলর (ড্রাম) বিতরণ করে ও বাকী গুলো আত্মসাৎ করেছে চেয়ারম্যান মিরন। শুধু আমি নই আমার মতো প্রায় অনেক মানুষই তালিকায় নাম থাকাতেও সাইলর ড্রাম পায়নি। তাদের বেশিরভাগই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলে না, খুললেও লিখিত অভিযোগ দিতে ভয় পায়। আমি তার বিরুদ্ধে ইউএনও’র কাছে এই অনিয়মের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার দাবি সুষ্ঠ ভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাই।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন,গত ২ আগষ্ট চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তার প্রেক্ষিতেই আমি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্তের রিপোর্টে সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।