স্টাফ রিপোর্টার টঙ্গী:
টঙ্গী পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী ও ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বিশ্বস্ত সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনই পছন্দের শীর্ষে। আগামী সম্মেলনে তাকেই সভাপতি নির্বাচিত করবেন বলে এমনটাই জানালেন থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র একাধিক নেতা। উচ্চশিক্ষিত, ভদ্র, মার্জিত স্বভাব ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে তিনি নেতাকর্মীদের কাছে অতি পরিচিত। তৃণমুলের নেতাকর্মীরা আগামী সম্মেলনে জয়নাল আবেদীনকেই বেছে নিবেন বলে একাধিক বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে।
পূর্ব থানার নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘ প্রায় ২০বছর পর আগামী ১৬ নভেম্বর হতে যাচ্ছে টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। ফুটপাতের চায়ের স্টল থেকে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সকলের মাঝেই একই প্রশ্ন কে হচ্ছেন পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে হওয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে টঙ্গীকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ থানায় দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ ও উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীকেই নেতাকর্মীদের প্রথম ও প্রধান পছন্দ।
১৯৬৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান ঢাকার) কায়েদ-এ আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কলেজে পড়াকালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি অনুরক্ত ও আসক্ত হয়ে পড়েন। পরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশমাতৃকাকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ৩নং সেক্টরের আওতাধীন মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে শত্রæবাহিনীকে পরাজিত করে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেন।
এব্যাপারে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক টঙ্গী পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতা-কর্মী বলেন, সভাপতি একটি থানা বা জেলার ভাইটাল পদ। এধরণের পদে শিক্ষিত ও দলের ত্যাগী নেতাদের স্থান দেয়া দরকার। আমাদের বিশ্বাস টঙ্গী পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদটি বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনকে উপহার দিলে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। তবে বর্তমানে সব দলের লোকই আওয়ামী লীগে ভিড় জমাচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে স্থান দেয়ারও দাবি জানান তারা।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন বলেন, এবারের সম্মেলনে সভাপতি আমি বিজয়ী হবো বলে শতভাগ আশাবাদী। দীর্ঘ ২৫বছর যাবত টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সবসময় দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। দুইবার টঙ্গী পৌরসভার কাউন্সিলর পদে থেকে এলাকার মানুষের খেদমত করেছি। টঙ্গী ঐতিহ্যবাহী পাইলট স্কুল এন্ড গালর্স কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি এবং মিরাশপাড়া হামিদা সিনিয়র মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এছাড়াও আলেরটেক মসজিদের মোতাওয়াল্লীর দায়িত্ব পালন করে আসছি। সর্বোপরি শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও সহচর হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত তার সান্নিধ্যে থেকে বিভিন্ন দলীয় আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। আমাকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করলে তৃণমুলের সকল নেতাকর্মী ও ত্যাগী এবং বিশ্বস্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবো।