সরাইলে পুত্রের ছুরিকাঘাতে প্রবাসী পিতা খুন

সরাইল সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুত্র মনির হোসেনের ছুরিকাঘাতে সৌদি প্রবাসী পিতা মকবুল হোসেন (৫০) খুন হয়েছেন।

রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দেওড়া গ্রামের মকবুল মিয়া (৫৫) দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সৌদিআরব থেকে গত দুই মাস আগে দেশে ফিরেছেন। মকবুল মিয়ার ২ পুত্র ও ৩ কন্যা সন্তানের মধ্যে মনির হোসেন সবার বড়। পারিবারিকভাবে মনির হোসেন ৩ সন্তানের জনক।

মনির হোসেন ঢাকায় একটি ব্যাগ ও সোফার ফ্যাক্টরীতে কাজ করেন। ঢাকায় থাকলেও মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে ঘাতক মনির হোসেন এর বিরুদ্ধে। স্থানীয় দোকানিরা টাকা পেত মনিরের কাছে। পিতার কাছ থেকে নিয়মিত টাকা চেয়ে নেওয়াটাও ছিল মনিরের নেশা।

মনির হোসেন এর মাতা ও তার স্ত্রীর মাঝে পারিবারিকভাবে তেমন বনিবনা ছিল না। মনিরের ছোট ভাই রনিকে তার পিতা সৌদি আরবে নেওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ আরও স্পষ্ট হয়। শনিবার সকালে মনিরের স্ত্রীর সাথে শশুর-শাশুড়ির ঝগড়া হয়। এ খবর মনিরকে তার স্ত্রী জানানোর পর মনির শনিবার গভীর রাতে ঢাকা থেকে বাড়িতে চলে আসে। পরদিন রবিবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে স্থানীয় মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যান মকবুল মিয়া। নামাজ শেষে সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিটে মকবুল মিয়া বাড়ির গেইটে পৌঁছামাত্র পারিবারিক কলহের জের ধরে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পুত্র মনির হোসেন তার পিতা মঙ্গল মিয়াকে গলার নীচে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় মঙ্গল মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। ঘটনার পর পর ঘাতক মনির হোসে তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহত মকবুল মিয়ার লাশ একনজর দেখতে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের বাড়িতে ভীড় জমান।

এ ব্যপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘাতক পুত্র মনির হোসেন ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে। ঘাতককে ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। আশা করি দ্রুত ঘাতককে গ্রেফতার রে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব।