ব্রেকিং নিউজঃ

উড়াল সড়ক দিয়ে বিমানবন্দর থেকে চিটাগাং রোড যাওয়া যাবে ১৫ মিনিটে

 

সিএনএ ডেস্ক: বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ী ছাড়িয়ে চিটাগাং রোড পর্যন্ত মাত্র ১৫ মিনিটে যাওয়া যাবে। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, সেই লক্ষেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক শাখাওয়াত আকতার।

তথ্যমতে, উত্তরার কাওলা থেকে বনানী পর্যন্ত উড়াল পথের ৯১ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। আর বনানী থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। কুতুবখালি পথের কাজও শুরু হয়েছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চলাচলের জন্য প্রাইভেট কার ও ছোট গাড়িকে গুনতে হবে ১২৫ টাকা। বাসের জন্য টোল ২৫০ ও পণ্যবাহী ট্রাকের ৫০০ টাকা। আর এক্সেল ট্রাককে গুনতে হবে ৬২৫ টাকা। মধ্যবর্তী কোনো এলাকায় নেমে গেলে ২০ শতাংশ হারে টোল কমবে। তবে দুঃসংবাদ রয়েছে মোটরসাইকেল আর তিন চাকার যানবাহনের জন্য। উড়াল সড়কে চলাচলের অনুমতি নেই তাদের।

বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের চুক্তি ২৫ বছরের। এক্সপ্রেসওয়েতে চলা যানবাহনে থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে লগ্নি করা টাকা তুলে নেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম শাখাওয়াত আকতার বলেন, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে চিটাগাং রোডের কুতুবখালি পর্যন্ত যাবে এই উড়াল সড়ক। এখানে গাড়ির গতিবেগ থাকবে ৮০ কিলোমিটার। এতে করে বিমানবন্দর থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত যেতে ১৫ থেকে ১৬ মিনিট সময় লাগবে।

তবে উড়াল সড়ক চালু হলে মুক্তি মিলবে নাকি নতুন জটলা হবে, তা নিয়ে চলছে চুরচেরা বিশ্লেষণ।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল হক বলছেন, যানজটের হটস্পটগুলো নিচে ফেলে উড়াল সড়কে রাজধানীর বাইরে যেতে পারলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আশানুরূপ পরিবর্তন আসবে।

প্রকল্পের কাজ শেষ হলে যানজটে স্থবির নগরিতে গতি ফিরবে, আর হাজার কোটি টাকার কর্মঘন্টা বাঁচবে নগরবাসীর।