রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :রৌমারীতে বøাক মেইল ও বিদেশ যাওয়ার ঘটনায় মানুষিক দুশ্চিন্তায় আবেগের বসবতিতে মোখলেছুর রহমানের কন্যা টালুয়ারচর গ্রামের নাজমুলের স্ত্রী মৌসুমি আকতার (২১) খাটের মশারির স্টানের সাথে গলায় ওড়না বেধে রহস্যজনক আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। ১৯ ডিসেম্বর বিকাল আনুমানিক ৪.১০ টায় উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের টালুয়ারচর গ্রামের আব্দুর রহিমের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ বছর আগে চরশৌলমারী গ্রামের মোখলেছুর রহমানের কন্যা মৌসুমি আক্তার (২১) শৌলমারী ইউনিয়নের টালুয়ারচর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে নাজমুল হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্কের পর তাদের মুসলিম সরাসরিয়তে বিবাহ হয়। এরপর থেকে মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হয়ে আসছিল। গতকাল সোমবার তাদের বাড়িতে মৌসুমির শশুর শাশুরির অনুপস্থিতিতে বিকাল আনুমানিক ৪.১০ মিনিটের দিকে খোজাখুজির এক পর্যায়ে নিজ শয়ন ঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পায় মৌসুমি খাটের মশারির স্টানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে দন্ডায় রয়েছে।
এমতাবস্থায় চিল্লাচিল্লির এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন উপস্থিত হয়ে এমন অবস্থা দেখতে পায়। তবে আত্মহত্যার সিমটম দেখা গেছে, তার গলায় ওড়নাটা ছিল ওলটা দিকে, গলায় কোন দাগ দেখা যায়নি, মুখে চিহŸা বা নালা দেখা যায়নি, খাটের স্টানের সাথে যে ওড়না পেচিয়েছে সেটা কোন বাকাও হয়নি, তার সম্পন্ন শরিরের ওজনটি ছিল ঘরের মেঝের পায়ের সাথে। এতে ধারনা হয় এটি আত্মহত্যা নয়, রহস্যজনক মৃত্যু।
মৌসুমির স্বামী নাজমুল হোসেন বলেন, আমার পিতা মাতা বাড়িতে ছিল না। বিকাল ৩ টার দিকে খাওয়া দাওয়া শেষে গরুর খাবার দেয়ার জন্য ব্যস্ত ছিলাম। এর মধ্যে বাড়িতে লোকজন আসে। তাদের সাথে সময় দিয়ে বিকাল ৪টা বাজে। পরে আমি মৌসুমিকে খুজাখুজি করি। পরে আমার এক ভাতিজা শয়ন ঘরের জানালা দিয়ে লক্ষ করে মৌসুমি ফাঁসি দিয়েছে। পরে পিতা মাতাকে খবর দেই। এবং রৌমারী থানায় খবর দেয়া হয়। তবে মৌসুমির সাথে আমার কোন খারাপ ছিলনা। বিদেশ যাওয়ার জন্য চেয়েছি এরজন্য মন খারাপ হয়েছে। কি কারনে তার এ মৃত আমি ভাবতে পারি না।
মৌসুমির শশুর শাশুরির সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা বাড়িতে ছিলাম না। তবে কি কারনে বৌমা আত্মহত্যা করে আমরা জানি না।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিল এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি কোন কথা বলতে চাননি।
অফিসার ইনচার্জ রূপ কুমার সরকার বলেন, মৌসুমির আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে, রাতেই ঘটনা স্থলে গিয়ে আমরা সাময়িক তদন্ত পূর্বক লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। পরের দিন সকালে পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত রির্পোটের উপরে মামলার ধারা যাবে।