ব্রেকিং নিউজঃ

ধর্মপাশায় দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে  আহত ৩৪

ধর্মপাশা ও মধ্যনগর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে  কমপক্ষে ৩৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
আশংকাজনক অবস্থায় আমীর হোসেন (২৫), গোলাম মৌলা (৬০),আলামিন (৪০),খসরুল মিয়া (২৮),আলী নূর (২৫) শাহিন মিয়া (৩০), আব্দুল মান্নান (৬৫), আতাবুর রহমান ৪০), সাজি্ুবুল হকসহ (১৮) ১৩ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকি আহতদেরকে ধর্মপাশা ও পাশের মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাদ-ইফতার  উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের স্বরশ্বতীপুর গ্রামের গোলাম মৌলার (৫০) পক্ষের লোকজনের সাথে  একই গ্রামের শামসু মিযা (৬৫) লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার স্বরশ্বতীপুর গ্রামের গোলাম মৌলাসহ তাঁর পক্ষের লোকজনের সাথে  একই গ্রামের শামসু মিয়া ও তাঁর লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।  এসব বিষয়াদি নিযে তাদের মধ্যে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার  বিকেলে শামসু মিয়ার পক্ষের গউস মিয়া (৬৫) নামে এক ব্যক্তি বাড়ির পাশের হাওর থেকে গরুর জন্য ঘাস খেটে তা বস্তায় ভরে হাওরের বেরী বাঁধের উপর দিয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় গোলাম মৌলার পক্ষের মতি মিযা, মানিক মিযাসহ ৪-৫ জন সেখানে গিয়ে গউস মিয়াকে ওই বাঁধের উপর দিয়ে বাড়িতে যেতে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এ বিষয়টি জানতে পেরে গউস মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে  বাড়ি থেকে বাঁধের উদ্দেশ্যে আসতে থাকেন। এসময় স্থানীয়রা উভয় পক্ষকেই থামিয়ে দেন।
পরে এরই জের ধরে সন্ধ্যায়  উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে পূনরায় সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপি সময় চলা এ সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্র, ট্যাঁঠা, রামদা, বল্লম, কাতরা ও লাঠিসোটার  আঘাতে কমপক্ষে ৩৪ জন গুরুতর আহত হন। তবে অধিকাংশ আহতরাই ট্যাঁঠাবিদ্ব হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,  এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনই আহতদের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্থ থাকায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*