নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনায় বারসিক রিসোর্স সেন্টার রামেশ্বরপুরে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানে দুইদিন ব্যাপী কৃষিপ্রতিবেশ,জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব পরিস্থিতির উপর অনলাইন ও নাগারিক সাংবাদিক এর সদস্যদেরকে নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।আর্থিক সহযোগিতায় গেøাবাল গ্রীন গ্রান্ডস ফান্ড ইউকে। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া,আটপাড়া,নেত্রকোনা সদর,মোহনগঞ্জ,কলমাকান্দা,পূর্বধলা ও মদন উপজেলার ২৫ জন সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সহায়কের ভ‚মিকা পালন করেন সৈয়দ আলী বিশ্বাস,পরিচালক,প্রাণবৈচিত্র্য ও খাদ্যনিরাপত্তা বিভাগ। প্রথমেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জনাব অহিদুর রহমান, আঞ্চলিকসমন্বয়কারী ,বারসিক নেত্রকোনা।পরিচয় পর্বে সাংবাদিকরা নিজ এলাকার কৃষি,পরিবেশ,ফসলবৈচিত্র্য,নদী,হাওর,জলাধার,গাছ,মাছ,প্রাণিসম্পদ, মাটি,পানি,বায়ু, বর্তমান পরিস্থিতি ও অতীতের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সহায়ক সৈয়দ আলী বিশ্বাস কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ূ ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব বিষয়ে আলোচনার পর অংশ্রহণকারীরা নেত্রকোনা অঞ্চলের কৃষিপ্রতিবেশ অবক্ষয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন।
আলোচনায়‘এগ্রোইকোলজি’ বা কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা হলো বিজ্ঞান, নীতি-দর্শন, অনুশীলন-চর্চা এবং জনআন্দোলনের বিষয়,জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নেত্রকোনা অঞ্চলে দুর্যোগ,কৃষিফসলের ক্ষেত্রে সংকট,বৈচিত্র্যতা কমে যাওয়াসহ প্রকৃতিগত সামগ্রিক এসব সামগ্রিক বিষয়গুলো উঠে আসে। টেকসই খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তরের জন্য উপযোগী কাঠামোকে বুঝতে সহায়তা করে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা। কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা সামাজিক ও রাজনৈতিক মাত্রাগুলোকে সন্নিবেশন করে আঞ্চলিক খাদ্যব্যবস্থার সুশাসনকে নিশ্চিত করে, যা খাদ্য সার্বভৌমত্বের আন্দোলনকে বেগবান করার কথা আলোচনায় উঠে আসে।
আলোচনায় যেসব বিষয় ওঠে আসে তা হলো, প্রান্তিক কৃষকদের অধিকার সুরক্ষা, কৃষকের স্থানীয় বীজসম্পদ সংরক্ষণ, কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা, জৈবকৃষি চর্চা, ভ‚ গর্ভের পানির ব্যবহার কমিয়ে আনা, ফসলবৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা, জৈবকৃষি চর্চাকে সম্প্রসারণ, কৃষকের মাঝে সচেতনতা তৈরী, জলাধার গুলোকে খনন ও সুরক্ষা করা, জনআন্দোলন শুরু করা, মাটিকে ভালো রাখার জন্য, জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।
সংবাদকর্মীরা নিজ নিজ এলাকার পরিবেশ প্রকৃতি,কৃষি,জলাভ‚মি, বিল গাছ,মাছ,মাটি পানি বায়ুর সংকটগুলো তুলে আনেন বিষয়গুলো সমাধান করলে ও চর্চা করলে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা সুরক্ষিত হবে। কৃষিপ্রতিবেশ সুরক্ষিত হবে বাস্তুতন্ত্র ঠিক থাকবে কৃষকের খাদ্যসার্বভৌমত্বও নিশ্চিত হবে।
‘