ব্রেকিং নিউজঃ

নেত্রকোণায় অপহরনের ৫লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী আসামী কিশোরগঞ্জে গ্রেফতার

 

মোনায়েম খান নেত্রকোণা :  নেত্রকোনা জেলা শহর থেকে অপহরন করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় কটিয়াদি, কিশোরগঞ্জ থেকে ভিকটিম উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতার। ভিকটিম মোঃ সাইফুল আলম শামীম(৩২), পিতা- সাজ্জাদুর রহমান সাজু, সাং- ঘোরাগাও, থানা- কলমাকান্দা, এপি- সাতপাই, নেত্রকোনা এবং আসামী মোঃ আলমগীর (৩৫), পিতা- মোখলেসুর রহমান, সাং- বহুলী, থানা- কেন্দুয়া, জেলা- নেত্রকোনা, পুলিশ সূত্রে জানা যায় দুজনের ব্যাবসায়ীক সংক্রান্ত ভাবে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। একসাথে ব্যাবসা করা ও টাকা পয়সা লেনদেনের উপর সবকিছু ভিত্তি করে দুজনের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের লক্ষ্যে সহযোগিদের নিয়ে অপহরণ ফন্দি আঁটে আসামী আলমগীর। নিজেদের পরিকল্পনা মতো গত ০৮-০২-২০২৩ ইং বুধবার বেলা ০২ ঘটিকার দিকে নেত্রকোনা শহরের কুরপাড় এলাকা থেকে পরস্পর সহায়তায় শামীমকে অপহরন করে নিয়ে যায় এবং শামীমের পরিবারের নিকট মুক্তিপণ স্বরুপ ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে অন্যথায় প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। পরিবারের লোকজন থানায় এসে অপহরন মামলা দায়ের করেন। নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ অপহরণের বিষয়টি দ্রæত পুলিশ সুপার, নেত্রকোনা জেলা মহোদয় কে অবহিত করিলে পুলিশ সুপার মহোদয় ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে অত্র মামলার ভিকটিম উদ্ধারে কাজ শুরু করে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ। অবশেষে সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ এর নির্দেশে অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই আশরাফ সঙ্গীয় ফোর্স সহ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি থানা কাপরপট্টি এলাকা হইতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং অপহরনকারী একজনকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, অপহরন হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পর অত্র থানায় একটি অপহরণ মামলা রুজু হয় এবং রাতেই আমরা ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় আমরা কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি থানার কাপড়পট্টি এলাকা থেকে ভিকটিম উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।