মোস্তাফিজুর রহমান তারা, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা : রৌমারীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চলছে ত্রিমুখি লড়াই। নির্বাচনে মানুষের মাঝে ভোটের আমেজ দেখা না গেলেও স্থানীয় গোত্রভেদে এলাকা ভিত্তিক নিজনিজ এলাকার প্রাথিকে নিয়ে চলছে মৌন ভোট যুদ্ধ। চিলমারী, রাজিবপুর, রৌমারী তিন উপজেলা মিলে কুড়িগ্রাম ৪ আসন। তিন উপজেলা মিলে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩২ ভোট। চিলমারীতে স্বতন্ত্র প্রাথি ১ জন,ত্রিণমূল বিএনপি ১জন, রাজিবপুরে নুরই শাহী ফুল কলার ছড়ি ও আব্দুল হামিদ কংগ্রেস ডাব মার্কা। রৌমারীতে সরকার দরীয প্রার্থি এ্যাড, বিপ্লব হাসান পলাশ নৌকা মার্কা। স্বতন্ত্র প্রার্থি মজিবর রহমান ঈগল পাখি, সাবেক এমপি রুহুল আমিন সাইকেল মার্কা, শামীম গামছা মার্কা, সাইফুর রহমান বাবলু লাঙ্গল মার্কা, শহিদুল ইসলাম শালু ট্রাক মার্কা।
উল্লেখ্য সরেজমিন চিত্রে জানাগেছে, প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় মানুষের মাঝে ভোটের আমেজ নেই। কিন্ত কুড়িগ্রাম ৪ আসনটি একটু ব্যাতিক্রম। এ আসনের কিছু মানুষ কঠ্রোর জামাত বিএনপি পন্থি হওয়ায় তাদের মুখে ভোট বর্জনের গুঞ্জন শোনা গেলেও, এখানে এলাকা ভিত্তিক তিন ভাগে ভোট বিভক্ত আশংকা করা হচ্ছে। নদীর পশ্চিমপাড়, নদীর পূর্বপারে চরাঞ্চল ও ডিসি সড়কের পূর্বপাড় কায়েম অঞ্চল এই অঞ্চলে ভোট যুদ্ধ হওযার আশংকা করা হচ্ছে। রৌমারি’র কায়েম অঞ্চলে সাইকেল, গামছা, লাঙ্গল, ঈগল ও ট্রাক মার্কায় প্রার্থি ৫ জন । নদী ক‚লীয় চরাঞ্চলীয় প্রার্থি ১ জন বিপ্লব হাসান পলাশ। চিলমারীতে ১ লাখ ৭ হাজার ভোট নিয়ে ২ জন প্রার্থি থাকলেও ওখানকার মানুষের মাঝে ঢেঁকি মার্কা প্রাথি ফারুকুল ইসলাম ফারুককে বেচে নেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এখানে শুধিদের ভোট বিশ্লেষনে জানগেছে, রৌমারী ,দাঁতভ্ঙ্গাা,শৌলমারী ও যাদুরচর ইউনিয়নে মোট ভোট ১লাখ ১৬ হাজার ৪৮২ ভোট, প্রার্থি ৫ জন। জরিপে অনুমেয় করা হচ্ছে আঞ্চুলিকতার টানে ৫ প্রার্থির মাঝে চলবে উক্ত ভোটের লড়াই। এদিকে নদী ক‚লীয চরাঞ্চলীয় প্রাথি ১ জন বিপ্লব হাসান পলাশ। আঞ্চলিকতার টানে চরশৌলমারীর ২২ হাজার ১৬২ ভোট, বন্দবেড় ইউনিয়নে ২৮ হাজার ৮৮ ভোট ও রাজিবপুরে ৬৫ হাজা ভোট মোট ১লাখ ১৫ হাজার ২৫০ ভোট বিপ্লব হাসান পরাশ ভোট যুদ্ধে। তবে বিশ্লেষনে দেখাগেছে, বিপ্লব হাসান পলাশ নৌকা মার্কা, ও ফারুকুল ইসলাম ফারকের মধ্যে এপার ওপার ভোট যুদ্ধ হতে পারে বলে অনেক বিশ্লেষকরা ধারণা করছে। এদিকে রাজিবপুরে দুইজন প্রার্থি থাকলেও নির্বাচনি মাঠে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।