ব্রেকিং নিউজঃ

রৌমারীতে শীতার্ত মানুষের মাঝে এমপি পলাশের কম্বল বিতরণ

 

মোস্তাফিজুর রহমান তারা, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাত :রৌমারীতে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন ২৮ কুড়িগ্রাম ৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ। রৌমারীতে বছরের শুরুতে তিব্র শৈত প্রবাহের কবলে প্রচন্ড ঠান্ডায় খেটে খাওয়া গরীব অসহায় নি¤œ আয়ের মানুষ গুলো ঘর কুনো হয়ে পড়েছে। রৌমারী সাধারণত ভারতের আসাম লাগোয়া পাহাঢ়ের পাদদেশে ঘেষা উপজেলা। যাফলে হিমালয়ের হিমেল হাওয়ায় প্রচন্ড ঠান্ডায় এখানকার মানুষ কর্মবিমুখ হয়ে পড়েছে। রৌমারী উপজেলায় জনসংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। এঅঞ্চলের মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে চরম হতাশা বিরাজ করে এখানকার মানুষের মাঝে। রৌমারীতে প্রচন্ড শীতে দরিদ্র মানুষের শীত নিবারণে পর্যাপ্ত শীত বস্ত্রের প্রয়োজন হলেও এপর্যন্ত ৪ লাখ মানুষের বিপরীতে মাত্র ৫ হাজার কম্বল বরাদ্দের কথা জানাগেছে।
শীতার্ত মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ অতি নগন্য। এব্যাপারে প্রতিনিয়ত শতশত শীতার্ত মানুষ উপজেলার ত্রাণ শাখায় উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে ও চেয়ারম্যান মেম্বারদের দ্বারে দ্বারে রাতভর ভির করছে। তাদের হাতে গচ্ছিত শীতবস্ত্র না থাকায় তাদেরকে পরবর্তিতে কম্বল দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামুসউদ্দিন বলেন , শীত চলমান সময়ে এপর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার কম্বল দেওয়া হয়েছে। জনসংখ্যা অনুযায়ী ত্রাণ হিসেবে শীত বস্ত্র আরো অনেক প্রয়োজন। এবিষয়ে উর্দ্ধতণ কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সরেজমিনে রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে গেলে দেখাযায়, শীতার্ত অসংখ্য হতদরিদ্র নারী-পুরুষ কম্বলের জন্য অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। এক পযায়ে উপজেলা চেয়ারম্যন উপস্থিত জনগণকে এক সপ্তাহের মধ্যে কম্বল দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে তাদেরকে শান্ত করেন।
উপস্থিত শীতার্তদের মধ্যে , হেলিপ্যাডের ফরিতন বেওয়া (৬০) হাজরা (৫০) ফ্যাকো (৫৫) ও বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত অসংখ্য শীতার্ত নারী-পুরুষ অভিযোগ করে বলেন, কনকনে শীতে ঠান্ডায় রাতে ঘুমাতে পারিনা। এখন কোন কাজ কাম নাই, খাবারই জোডান পারিনা কিদে ঠান্ডার কাপড় কিনুম। আমাগো কোন প্রকার সরকারী সাহায্য দেয়না চেরারম্যান মেম্বাররা। আমাগো খোজ কেরা নেয়।
এব্যাপারে ২৮ কুড়িগ্রাম ৪ সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ এর সাথে শীতার্ত মানুষের বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বছরের শুরুতে হটাৎ করে সারাদেশে শৈত প্রবাহ ও ঠান্ডা পড়ায় সারাদেমে এক যোগে শীত বস্ত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এমন অবস্থায় সরকার একযোগে সারাদেশের প্রতিটি উপজেলায় শীতার্ত মানুষের জন্য প্রাথমিক পর্যয়ে শীতবস্ত্র সরবরাহ করে। শীত দীর্ঘায়ীত হওয়ায় শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণের জন্য সরকার চেষ্টা করছে। এদিকে সরকারী সহায়তার পাশাপাশি আমি আমার নিজস্ব অর্থায়নে আমার নির্বচনী এলাকায় খন্ড খন্ড ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*