কমছে না নিত্যপণ্যের দাম, চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা : গত কিছুদিনে দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। নিম্নব থেকে মধ্যবিত্ত হয়ে উচ্চবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে গিয়ে।

এবার নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির সেই ছোঁয়া লাগলো রামগঞ্জ কাঁচা বাজারগুলোতেও। বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

এবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে মূল্যবৃদ্ধির উল্লম্ফন ঘটেছে। এই ভার বহন করার অনেকের পক্ষেই কষ্টদায়ক। সংকটকালে সুবিধাভোগী গোষ্ঠী অধিক মুনাফার লোভে বাজার আরও অস্থিতিশীল করে তোলে। সংগত কারণেই বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের যথাযথ তৎপরতা জরুরি। প্রথমেই বাজার কারসাজি বন্ধ করতে হবে। পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল রামগঞ্জ বিভিন্ন বাজারে কাঁচা বাজার ও মুদি দোকানের ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে চাল, আটা, ময়দা, ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশছোঁয়া। অনেক ক্ষেত্রে এসব পণ্য যেন ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এরপর শাক-সবজির দাম হঠাৎ করেই কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বেড়েছে মুরগি, মাছ ও মাংসের দামও।

শিমের দাম ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, বেগুনের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। ঝিঙে ৬০ টাকা কেজি,পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা,এক হালি কাঁচকলা ৩০ টাকা,বরবটি ৮০ টাকা,মূলার কেজি ৫০ টাকা,কুড়ি কচু ৪০ টাকা, শসার কেজি ৬০ টাকা, সবুজ শাক ১০০ টাকা, লাল শাক ৮০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শাক-সবজির দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। প্যাকেটজাত আটার কেজি ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা। সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৬ টাকা থেকে ১৬৫ টাকা লিটার দরে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৮৬ টাকা। মসুর ডালের কেজি ৯০ থেকে ১৩০ টাকা। পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতোই ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া মাছের বাজারও আছে আগের মতো অপরিবর্তিতই। এক কেজি বা তার ওপরের সাইজের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকায় আর ছোট ইলিশের কেজি ৫০০-৬০০ টাকা। শিং মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। রুই মাছের কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। কাতল মাছও বিক্রি হচ্ছে রুই মাছের দরে। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে। শোল মাছের কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। গরুর মাংস ৮৫০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রামগঞ্জ বাজারের সবজি বিক্রেতা কামাল বলেন, তেলের দাম বাড়ায় সবজির দাম বেড়ে গেছে। পটোলের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা ছিল দু-এক দিন আগেও। আর আজকে দাম ৪০ টাকা। অন্যসব সবজির দামও বাড়তি। করলার দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। বাজার চড়া। সব জিনিসের দামই বাড়তি। ফলে পাইকারি পর্যায়েও সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব তো খুচরা বাজারে পড়বেই।