ব্রেকিং নিউজঃ

বারহাট্টা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদ-প্রার্থী মাইনুল হক কাসেম

রুকুনুজ্জামান খান ,বারহাট্টা (নেত্রকোণা) : নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা আ’লীগের আসন্ন ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদ-প্রার্থী হয়েছেন মুহাম্মদ মাইনুল হক কাসেম। কাসেম বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। অতিথে তিনি বিএনপি’র দুঃশাসন মোকাবেলা করতে গিয়ে জেল খেটেছেন। পরবর্তীতে তিনি জেলা-উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবে কাজ করে বারহাট্টায় দলের নেতা-কর্মীদের সু-সংঘটিত করেন। ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য তিনি স্থানীয়ভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হন। তবে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি স্বতন্দ্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও জয়লাভ করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি কেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন এ প্রশ্নের জবাবে কাসেম বলেন, ‘আমি যখন ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলাম, তখন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা লিখিত ভাবে নির্দেশনা দিয়েছিলেন যে, যদি কেহ ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে তাহলে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও ইঊনিয়ন আওয়ামীলীগের তৃণ মুলের ভোটে নির্বাচিত হয়ে যে আসবে সেই শুধু নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে। তখন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক আমাদের মাঝে তৃণ মুলের ভোট গ্রহণ করা হয়। তৃণমূলের ভোট আমি তখন সর্বোচ্চ ভোট ১০৯ টি প্রাপ্ত হই। আর আমার সাথে যারা তৃণমূলে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে করেছিলেন, তাদের মধ্যে মোঃ খায়রুল কবীর খোকন ও জালাল তালুকদার তারা অনেক কম ভোট প্রাপ্ত হন। এ নির্বাচনে আমি সামান্য ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হতে পারিনি। নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালে যখন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও নেত্রকোণা জেলা আওয়ামীলীগ আমাকে একক ভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে মনোনয়নের জন্য পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশতঃ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাকে মনোনয়ন দেন নাই। ২০১৯ নির্বাচনে বিএনপি কিংবা অন্য কোন রাজনৈতিক সংগঠন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই। যেহেতু বিএনপি কিংবা অন্য কোন রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহণ করে নাই সেই কারণে আমি তখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রায় শতকরা ৯৮ ভাগ লোক আমাকে সেই দিন সমর্থন করে ভোট দিয়েছিলেন। যার কারণে আমি স্বতন্ত্র থেকে ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ভালবাসা পেয়ে বিপুল ভোটে আমি নির্বাচিত হই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে শকোজ করেছিলেন যে, আমি কেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। পরবর্তীতে আমি শকোজের জবাব দেই। জবাবে সন্তোষ্ট হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আমাকে ক্ষমা করেছেন। বারহাট্টা উপজেলায় এবারের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যারা প্রার্থী হয়েছে। তারা কোন না কোনভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করেছেন। তিনি জানান আমাকে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সভাপতির পদে নির্বাচত করেন তাহলে আমি বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল নেতা কর্মীবৃন্দকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাবো। বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামীলীগকে একটি মডেল আওয়ালীগ দল হিসেবে গড়ে তুলব। আর যদি আমাকের দায়িত্ব না দেন তাহলে আমি সারা জীবন আওয়ামীলীগের কর্মী হিসাবে কাজ করে যাবো। আমাদের আওয়ামীলীগের সম্মেলন ২১ অক্টোবর, ২০২২ তারিখ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যে কোন কারণে তা স্থগিত হয়ে আবার ২৪ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সকলেই আশাবাদী আগামী তারিখে যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উক্ত সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বারহাট্টায় একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য কমিটি আমাদেরকে উপর দিবেন। আমরা বারহাট্টাবাসী দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ এ দিনটির জন্য অপেক্ষা আছি।