ব্রেকিং নিউজঃ

মোবাইলে প্রেম, বিয়ের প্রলোভনে ডেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নরসিংদী জেলার এক তরুণী। এ ঘটনায় গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ওই তরুণী বোদা থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও অজ্ঞাত দুই/তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেক ও তার সহযোগী আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ধর্ষণের এই ঘটনায় গ্রেফতার দুই জনকে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতের নির্দেশে তাদের জেল হাজতে পাঠানা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- বোদা উপজেলার সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেক (২৫), তার বন্ধু প্রসাদ খাওয়া এলাকার রহিদুলের ছেলে মো. আপন (২৫), আরেক বন্ধু একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০) এবং বামনপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২)। তাদের মধ্য বাকি আপন এবং আশরাফুল পলাতক রয়েছে।

মামলায় অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় ওই তরুণীর। প্রায় ৯ মাস প্রেমের সূত্র ধরে এবং প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়র বোদায় চলে আসে ওই তরুণী। পরে আলমগীর হোসেনের সহযাগিতায় প্রেমিক মালেক বোদার প্রসাদ খাওয়া এলাকার বাড়িত তাকে নিয়ে যায়। ওই বাড়িতে আশরাফুল ও আপন নামে অন্য দুই তরুণও আসে। বাড়িতে অন্য লোক না থাকায় সেখান তরুণী থাকত রাজি হয়নি। পরে বিয়ের জন্য রাতে তাকে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাশের আম বাগানে নিয়ে মালেক, আপন ও আশরাফুল তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ইজিবাইক চালক আলমগীর হোসেনসহ আরও দুই/দিন জন পাহারায় ছিল। তরুণীর চিৎকারে স্থানীয়রা বাগানে টর্চলাইট নিয়ে এগিয়ে আসলে তারা পালিয় যায়।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুজয় কুমার রায় বলেন, মামলার পর প্রধান আসামি মালেক ও তার সহযোগী আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ভিকটিমকে বহনকারী ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার দুইজন আদালত স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। খবর পেয়ে তার অভিভাবকরা থানায় এসেছেন।

তরুণীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*