ব্রেকিং নিউজঃ

‘মুহিবুল্লাহ বেঁচে থাকলে এতোদিনে নিজ দেশে ফিরতে পারতাম’

রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে আগামী ১১ অক্টোবর। এর আগে ২৯ জনকে আসামি করে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। মামলার অভিযোগ গঠনের খবর পেয়ে লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি ব্লকে বসবাসরত মুহিবুল্লাহর আত্মীয়-স্বজনরা দ্রুত বিচার কাজ শেষ করে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন।

মুহিবুল্লাহর মামা হাফেজ শফিকুর রহমান বলেন, মুহিবুল্লাহ বেঁচে থাকলে আমরা এতোদিনে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারতাম। কিন্তু আমাদের ওপর জুলুম করার জন্য কিছু সন্ত্রাসী মুহিবুল্লাহকে হত‌্যা করে। আমরা যেন মিয়ানমারে ফিরে যেতে না পারি, তাই আমাদের নেতাকে হত্যা করেছে তারা। আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করছি।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন।

মুহিবুল্লাহর ভগ্নিপতি হামিদ হোসাইন বলেন, মুহিবুল্লাহর হত্যার বিচার কাজ শুরু করার জন্য প্রথমে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা চাই, পলাতক আসামিসহ যারা গ্রেপ্তার রয়েছে সবার সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। মুহিবুল্লাহকে নির্মমভাবে হত্যা করে জানিয়ে দিল তারা পুরো রোহিঙ্গা জাতির শত্রু। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার জন্য তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়নি বলে মুহিবুল্লাকে হত্যা করেছে।

ক্যাম্প-১ ওয়েস্ট এর আরেক আত্মীয় আনাস বলেন, সেদিন ক্যাম্পের হাসপাতালে আমার চোখের সামনে তার বুক থেকে গুলি বের করা হয়। সেই দৃশ‌্য আজও ভুলতে পারিনি। আমরা অভিভাবক হারিয়েছি। দোষীদের সবোর্চ্চ শাস্তির দাবি জানাই।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ‌্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, আগামী ১১ অক্টোবর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। মামলার সাক্ষী ৩৮ জন। এ মামলায় গ্রেপ্তার ১৫ আসামির মধ্যে ৬ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। আশা করি, আমরা দ্রুত বিচার কাজ শেষ করতে পারবো।

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া ও অধিকার আদায়ের পক্ষে কথা বলা রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান ছিলেন।

২০২১ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকের এআরএসপিএইচ সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। ৮ মাস ১৩ দিন পর ১৩ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*