ব্রেকিং নিউজঃ

আটপাড়া কেন্দুয়া আসনে বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী

 

 

মোনায়েম খান, নেত্রকোণা :  আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে আটপাড়া কেন্দুয়া আসনে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন ৫ বারের সাবেক কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম তিনি ১৯৬৬ সালে আইয়ুব বিরোধী সকল আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর ৬দফা ঘোষনায় জনমত ঘঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং আইয়ুব খানের ষড়যন্ত্রমূলক আগরতলা মামলা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পর সারাদেশব্যাপী মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহন করে মামলা পরিচালনা করার জন্য কূপন বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহে সহযোগীতা করেন । পরবর্তী ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে মহান মুক্তিযোদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন ৯মাস স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে লাল সবুজের পতাকা অর্জনের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করেন। সেই থেকে নিজের ইউনিয়ন দলপা আওয়ামীলীগের সভাপতি থেকে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ৩৮ বছর সংগঠক হিসেবে সকল চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দলকে সুসংঘঠিত করেছেন। বিগত জামাত বিএনপির সরকারের সময় মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক হামলা মামলা শিকার হয়েছেন এর পরেও দলের হাল ছাড়েননি । তিনি বাংলাদেশ বেতারের একজন তালিকাভুক্ত গীতিকার। উনার রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দুয়া, এই বইটি বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করেছেন । বঙ্গবন্ধুর হাত আজও আমার হাতে লেগে আছে বইটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে উৎসর্গ করেছেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নেত্রকোণা জেলা ছাত্রলীগের নেতা শাহনূর রহমান তিতাস মিছিলে শহীদ হলে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি গীতি নকশা ক্যাসেট বের করেন । ”আন্দোলনের একটি নাম ছিল তিতাস” এই ক্যাসেটটি দেশ বিদেশে প্রচার হয়েছিল। রাশেদের প্রেম ও রাজনীতি ,বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনসহ ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকান্ডের ইতিহাস নিয়ে অনেক বই রচিত হয়েছে। প্রতিটি আন্দোলনে রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক মনা ও সাধারণ মানুষকে নানা আনন্দ উৎসাহ দিয়েছেন। সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করেছেন। কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিজের সুবিধার কথা চিন্তা না করে দলের কর্মী সমর্থকসহ সাধারণ মানুষকে সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। দলের কর্মীরাও সকল বিপদের আশ্রয় স্থল মনে করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে। এই ভাবে নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের সেবা করে রাজনীতিতে নিজেকে জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্থানে নিয়ে গেছেন। বিগত করোনা মহামারিতে নিজের অর্থায়নে গরীব আসহায় মানুষের ঘরে ঘরে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ পৌছে দিয়েছেন। বিশেষ করে মধ্যবর্তী পরিবার গুলো যখন লজ্জায় কারও কাছে কিছু চাইতে বলতে পারতো না ঠিক তখনেই তিনি খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তাদের দরজায় হাজির হয়েছেন। এছাড়া যে কোন ধর্মীয় অনুষ্টানে নিজের সাধ্যমতো সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন। এই ভাবে নিজের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে গ্রাম গঞ্জে উঠান বৈঠক করে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন প্রচার করে চলছেন। কেন্দুয়া আটপাড়া আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে যোগের পর যোগ ধরে নেতা কর্মীদের একটি নীতি আদর্শ আছে সেটা হলো জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকা দিবেন সবাই থাকে সমর্থন করেন। কিন্তু বিগত ১৮ সালে নৌকা বিজয়ের পর থেকে আটপাড়া কেন্দুয়া আসনে নেতা কর্মীদের নামে অগনিত মামলা হওয়াতে ও তেমন কোনো উন্নয়ন না হওয়াতে বর্তমান এমপির প্রতি নেতা কর্মীদের তেমন কোন সমর্থন নেই। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মোঃ নুরুল ইসলাম নৌকা পেলে আটপাড়া কেন্দুয়া আসনে আসতে পারে নতুন চমক বলে মনে করেন দলের নেতা কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*