মোস্তাফিজুর রহমান তারা ,রৌমারী কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা : রৌমারীতে দিগন্তজুড়ে সরিষা ক্ষেতে হলুদ ফুলের সমারোহে ছেয়েগেছে মাঠের পর মাঠ। রৌমারীতে রবি-মৌসুমে প্রধান অর্থকরি ফসল হিসেবে সরিষা চাষকে ধরা হয়ে থাকে। রৌমারী নদী ক‚লীয় চরাঞ্চলীয় এলাকা হওয়ায় এখানে দুটি ফসল রবি শস্য হিসেবে সরিষা, গম মুগডাল ভ‚ট্রা চাষ হয়ে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবার রৌমারীতে ব্যাপক হারে সরিষা চাষ করা হয়েছে। রৌমারী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যনুযায়ী এবছর রৌমারীতে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এবছর তেমন বর্ষা না হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার গাছ হিষ্টপিষ্ট মোটাতাজা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে সরিষা পাকার আগমুহুত্ব পর্যন্ত কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও ঝড়ো হাওয়া না হলে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। সরিষা কৃষকের লাভজনক ফসল। সরিষার কোন অংশ ফেলানো হয়না। সরিষা থেকে তেল হয়, খৈল হয়, খৈল দিয়ে গো-খাদ্য,মৎস্য খাদ্য, সরষা গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যাবহার হয়ে থাকে। রৌমারীতে বিঘা প্রতি ১৩/১৪ মন সরিষা হয়ে তাকে। এবাপারে সরিষা চাষি আজহার আলী, জাকারিয়া, ময়েজ উদ্দিন,ফুলবাবুু,কোব্বাছ সাংবাদিককে জানান, রৌমারী সাধারণত নদী ক‚লীয় অঞ্চল। এখানকার মানুষের প্রধান পেষা কৃষি। তবে বর্ষা মৌসুমে পরবর্তি সময় রবি মৌসুম নামে ক্ষ্যাতএঅঞ্চল। এ মৌসুমে প্রধান অর্থকরি ফসল হিসেবে সরিষা চাষকে প্রধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। তারা আরো জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবছর রৌমারীতে ব্যাপক হারে সরিষা চাষ করা হয়েছে। সরিষা চাষ শুরুর থেকে এখন পর্যন্ত রৌমারীতে কোন বৈরি আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা যায়নি। আশা করা হচ্ছে বাকী সময় আবহাওয়া ভালো থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন হবে।