ব্রেকিং নিউজঃ

প্রেমিকের সঙ্গে অন্য মেয়ের ঘনিষ্ঠ ছবি, ফাঁস দিয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক : শরীয়তপুর পৌরসভায় প্রেমিকের সঙ্গে অন্য মেয়ের ঘনিষ্ঠ ছবি দেখে এক প্রেমিকা ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তুলাসার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আত্মহত্যা করা তয়না আক্তার তুলাসার গ্রামের নুরুজ্জামান ফকিরের ছোট মেয়ে। তিনি শরীয়তপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আর এনএস নয়ন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি ডিগ্রির প্রথম বর্ষের ছাত্র।

তিন বছর ধরে তয়নার সঙ্গে নয়নের প্রেমের সম্পর্ক। সম্প্রতি তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। তবে তয়না আবেগে ভেঙে পড়েন। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে তাদের বন্ধুরা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এরই মধ্যে নয়নের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তা তয়না জানতে পারে। বুধবার রাতে তয়না ফেসবুক মেসেঞ্জারে নয়নের সঙ্গে আরেকটি মেয়ের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি ছবি দেখতে পায়। পরে দুঃখ কষ্টে বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ রুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ জানতে পেরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ৷

তয়নার বাবা নুরুজ্জামান ফকির বলেন, আমার মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতো ও মানসিকভাবে কষ্ট দিত নয়ন। মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে নয়ন। আমি নয়নের বিরুদ্ধে মামলা করব। আমি নয়নের বিচার চাই। আমরা যতটুকু জানি নয়নের বাবা পুলিশের চাকরি করে।

তিনি বলেন, আমার দুটি মেয়ে। আমার স্বপ্ন ছিল ছোট মেয়ে তয়নাকে পাইলট বানাব।

তয়নার বন্ধু প্রভাতি, লামিয়া, মহসিন ও রাতুল বলেন, তিন বছর ধরে তয়না ও নয়নের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক। তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আমরা বন্ধুরা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। নয়নের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তা তয়না জানতে পারে এবং নয়নের সঙ্গে ওই মেয়ের ঘনিষ্ঠ ছবি ফেসবুক মেসেঞ্জারে দেখতে পায়। তা দেখে রাতে আমাদের মেসেজ দিয়ে জানায়। এ কারণেই আত্মহত্যা করেছে তয়না। নয়নকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*